আকবর আলি খান

ভারতপিডিয়া থেকে
পরিভ্রমণে চলুন অনুসন্ধানে চলুন
আকবর আলি খান
Akbar Ali Khan.png
জন্ম১৯৪৪
নবীনগর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
পেশাঅর্থনীতিবিদ, শিক্ষাবিদ
জাতীয়তাবাংলাদেশী
নাগরিকত্ব বাংলাদেশ
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানঢাকা কলেজ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

আকবর আলি খান (জন্ম: ১৯৪৪) একজন বাংলাদেশী সরকারী আমলা, অর্থনীতিবিদ এবং শিক্ষাবিদ। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তিনি হবিগঞ্জের মহুকুমা প্রশাসক বা এসডিও ছিলেন এবং যুদ্ধকালীন সময়ে সক্রিয়ভাবে মুজিবনগর সরকারের সাথে কাজ করেন। মুক্তিযুদ্ধ কালে পাকিস্তান সরকার অনুপস্থিতিতে তার বিচার করে এবং ১৪ বৎসরের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করে। দেশ স্বাধীন হবার পর তিনি সরকারী চাকুরী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতার সাথে যুক্ত ছিলেন। ২০০৬ সালে তিনি রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদের নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের একজন উপদেষ্টা ছিলেন। পরবর্তীতে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন না হবার আশঙ্কায় তিনি তিনজন উপদেষ্টার সাথে একযোগে পদত্যাগ করেন।[১] তিনি রেগুলেটরি রিফর্মস কমিশনের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন। [২]

প্রাথমিক জীবন

আকবর আলি খান ১৯৪৪ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি তার পুরো স্কুল জীবন পার করেন ধানমন্ডি গভ: বয়েজ হাই স্কুল এ । তিনি ঢাকা কলেজে ভর্তি হন এবং ১৯৬১ সালে আই. এস. সি পাশ করেন। এরপর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগে অধ্যয়ন করেন এবং সেখান ১৯৬৪ সালে সম্মান ও ১৯৬৫ সালে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন দুটিতেই প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হয়ে। সরকারী চাকুরীতে যোগদানের পূর্বে তিনি কিছু সময়ের জন্য শিক্ষকতা করেন। ১৯৬৭-৬৮ মৌসুমে তিনি লাহোরের সিভিল সার্ভিস একাডেমিতে যোগ দেন। প্রশিক্ষণ শেষে ১৯৭০ সালে হবিগঞ্জ মহুকুমার এস. ডি. ও. হিসেবে পদস্থ হন। তিনি তার এলাকায় সুষ্ঠুভাবে ১৯৭০-এর নির্বাচন পরিচালনা করেন। [৩]

মুক্তিযুদ্ধ

যুদ্ধ শুরুর আগের অসহযোগ আন্দোলনে তিনি সমর্থন দেন। পাকিস্তান বাহিনীর আক্রমণ শুরু হলে হবিগঞ্জ পুলিশের অস্ত্র সাধারণ মানুষের মধ্যে বিতরণ করে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন এবং মুক্তিযুদ্ধে অণুপ্রাণিত করেন। মুজিবনগর সরকার তখনো প্রতিষ্ঠিত না হওয়ায় অনেক সরকারি কর্মচারীই লিখিত অণুমতি ছাড়া অস্ত্র যোগান দিতে অস্বীকৃতি জানান। ফলে আকবর আলী খান নিজ হাতে লিখিত আদেশ তৈরি করে মুক্তিযোদ্ধাদের অস্ত্র, খাদ্য ও অর্থ যোগান দেবার আদেশ প্রদান করেন। তিনি স্বাধীন বাংলাদেশের জন্য তহবিল তৈরি করতে ব্যাংকের ভল্ট থেকে প্রায় তিন কোটি টাকা উঠিয়ে ট্রাকে করে আগরতলায় পৌছে দেন। তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের খাদ্য যোগান দেবার জন্য গুদামঘর খুলে দেন এবং পরবর্তীতে আগরতলায় চলে যান। আগরতলায় যাওয়ার পর সহযোগীদের নিয়ে তিনি একটি পূর্বাঞ্চলীয় প্রশাসন গড়ে তোলার চেষ্টা করেন যার লক্ষ্য ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা করা এবং একই সঙ্গে উদ্বাস্তু শিবিরে যারা আশ্রয় নিয়েছিল সেই শরণার্থীদের সহায়তা করা। প্রথমদিকে তাদের প্রচেষ্টা ছিল স্বনির্ভর। এপ্রিলে মুজিবনগর সরকার গঠিত হবার পর মে মাসে তিনি যোগাযোগ শুরু করেন। জুলাই মাসে (১৯৭১) তাকে সরকারে যোগ দেবার জন্য কলকাতায় যেতে বলা হয় এবং সেখানে তিনি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে ডেপুটি সেক্রেটারি বা উপসচিব হিসাবে পদস্থ হন। আগস্ট মাসে তাকে উপসচিব হিসাবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে বদলী করা হয়। ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীনতা লাভ অবধি তিনি এই পদেই চাকুরি করেছেন।

পরবর্তী জীবন

১৯৭১-এর ১৬ই ডিসেম্বরে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর দেশে প্রত্যাবর্তন করেন এবং সচিবালয়ে সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ে যোগ দেন। তিনি সেখানে ছয় মাস চাকরি করেন এবং মুক্তিযোদ্ধাপাকিস্তান থেকে ফেরত ব্যক্তিদের চাকরি পেতে সহায়তা করেন। পরে তাকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সরিয়ে নেয়া হয়। ১৯৭৩ সালে তিনি চাকরি ছেড়ে শিক্ষকতায় যোগদানের জন্য সিদ্ধান্ত নেন। তিনি তার পদত্যাগপত্র জমা দিলেও প্রধানম্নত্রী শেখ মুজিবুর রহমান তা গ্রহণে অস্বীকৃতি জানান। তাকে অবসর না দিয়ে শিক্ষকতা করার জন্য ছুটি দেয়া হয়।

কমনওয়েলথ বৃত্তির জন্য মনোনীত হবার আগে তিনি অল্প সময়ের জন্য জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। বৃত্তির জন্য তিনি কানাডার কুইন্স বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেন এবং সেখানে অর্থনীতি বিভাগে মাস্টার্স এবং পি. এইচ. ডি. ডিগ্রি অর্জন করেন।

১৯৭৯ সালে দেশে ফেরত আসার পরে অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি লাভ করেন। তাকে আবারো প্রশাসনের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে যোগ দেবার জন্য আহ্বান জানানো হয়। ১৯৮৪ সালে তিনি সাভারের বিপিএটিসি-তে মেম্বার ডাইরেক্টিং স্টাফ (এমডিএস) হিসেবে যোগ দেন। অত:পর ১৯৮৭ সালের পূর্ব পর্যন্ত তিনি পল্লী উন্নয়ন বোর্ড, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ সরকারী কর্মকমিশন সচিবালয়ে কাজ করেন।

তিনি ওয়াশিংটনের বাংলাদেশ দূতাবাসে মিনিস্টার (ইকনমিক) পদে যোগ দেন। ঢাকায় ফিরে তিনি অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংকিং বিভাগে অতিরিক্ত সচিব পদে যোগ দেন। তার সময়ে তিনি বিসিসিএল ব্যাংকের পূনর্গঠন এবং বেসিক ব্যাংক অধিগ্রহণের কাজ করেন। অল্প সময়ের জন্য পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ে কাজ করে তিনি ১৯৯৩ এ সরকারের সচিব হিসাবে পদোন্নতি লাভ করেন। ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৬ পর্যন্ত তিনি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৬ সালে তিনি অর্থ সচিব হিসাবে পদস্থ হন। ২০০১ সালে তিনি বিশ্বব্যাংকে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসাবে বিকল্প কার্যনির্বাহী পরিচালক (অল্টারনেটিভ এক্সিকিউটিভ ডাইরেক্টর) পদে যোগদান করেন। বিশ্ব ব্যাংকে তিনি ২০০২ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত কাজ করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিতর্ক

শেখ মুজিবুর রহমান প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যে কে রাজাকার আর কে নয় তা নিয়ে রেষারেষি দেখা দেয়। প্রধানমন্ত্রী শিক্ষামন্ত্রীকে ডেকে এ বিষয়ে তদন্ত করার নির্দেশ দিলে তিনি এর দায়িত্ব আকবর আলি খানকে হস্তান্তর করেন। রাজাকারদের জন্য তখন একটি আইন প্রচলিত থাকায় এবং সে আইনের অধীনে এ তদন্ত সম্ভব নয় বলে খান নির্দেশানুযায়ী তদন্ত প্রতিবেদন পরিবেশন করে তার অসন্তোষের কথা উল্লেখ করেন। পরবর্তীতে তার নোটসহ তদন্ত প্রতিবেদন তদানীন্তন রাষ্ট্রপতি আবু সাঈদ চৌধুরীর কাছে গেলে তিনি বিষয়টি অনুধাবন করেন। তিনি শিক্ষামন্ত্রীকে ডেকে বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীকে বুঝিয়ে বলার পরামর্শ দেন। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, যখনই যা আমার কাছে পছন্দ বা আইনসিদ্ধ মনে হয়নি আমি লিখিত নোট দিয়েছি এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রে আমার অভিজ্ঞতা বলছে যে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তা গৃহীত হতে বাধ্য।

সমসাময়িক কার্যাবলী

২০১৬ সালে একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন আকবর আলি খান

বিশ্ব ব্যাংক থেকে অবসর গ্রহণের পর তিনি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে সেন্টার ফর গভরর্ণমেণ্ট স্টাডিজ প্রতিষ্ঠা করেন[৪]। বর্তমানে তিনি সেখানে খণ্ডকালীন অধ্যাপক হিসেবে কাজ করছেন। সাম্প্রতিক সময়ে (২০১০-) তিনি বিভিন্ন টেলিভিশন টক শোতে উপস্থিত হয়ে দেশের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করার জন্য জনপ্রিয়তা লাভ করেছেন। ২০১৪'র মার্চ মাসে এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, প্রধান মন্ত্রী হাসিনার হাতে যত ক্ষমতা মুঘল সম্রাটেরও তত ক্ষমতা ছিলনা।[৫] ৫ জানুয়ানি ২০১৪ অনুষ্ঠিত ১০ম সংসদীয় নির্বাচন সম্পর্কে তিনি বলেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচন সংবিধান মোতাবেক অনুষ্ঠিত হলেও নৈতিকভাবে একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ নির্বাচন হয় নি। ১৫৩ টি আসনে নির্বাচনই হয়নি। ১৪৭ টি আসনে নির্বাচন হলেও ১০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েনি।"[৬] তিনি আরো অভিমত ব্যক্ত করেন যে, দেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে নির্বাচন পদ্ধতি। গত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে ব্যর্থ হয়েছে। নির্বাচন ব্যর্থ হওয়ার পেছনে রয়েছে তত্বাবধায়ক সরকার। আর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার সমাধান না হলে কখনো কোন সুষ্ঠ নির্বাচন সম্ভব নয়।[৭] অন্যত্র তিনি বলেছিলেন, "দেশের উন্নয়ন করতে হলে সাম্প্রদায়িকতা বন্ধ করতে হবে।[৮] তিনি আরো মনে করেন,"বঙ্গবন্ধুর আদর্শ আজ দেশ থেকে নির্বাসিত। মানুষকে ক্ষমতার কেন্দ্রে প্রতিষ্ঠিত করতে না পারলে বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করার কোন তাৎপর্য নেই।" ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৩ তারিখে তিনি বলেন, "সংবিধান মানুষের জন্য, মানুষ সংবিধানের জন্য নয়। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয়।"[৯]

নানা কর্মকাণ্ডের মধ্যে নিমগ্ন আকবর আলী খান দেশের ঐতিহাসিক ও অর্থনৈতিক পরিবর্তন ও অগ্রগতি নিয়ে গবেষণা করছেন। একই সঙ্গে তিনি জীবনানন্দ দাশের কবিতা নিয়ে গবেষণা করছেন (২০১২-১৩)।

বই

আলি আকবর খানের গ্রন্থ ‘হিস্টোরি অফ বাংলাদেশ” বা বাংলাদেশের ইতিহাস’ এশিয়াটিক সোসাইটি কর্তৃক প্রকাশিত। বইটিতে তিনি বাংলাদেশের ঐতিহাসিক ও সামাজিক উত্থান ও পরিবর্তন নিয়ে গবেষণা করার পাশাপাশি দেশে ইসলাম ধর্মের বিকাশ নিয়ে আলোচনা করেছেন। তিনি অর্থনীতিবিষয়ক বই, পরার্থপরতার অর্থনীতি যাতে তিনি সরস ও প্রাঞ্জল ভাষায় অর্থনীতির জটিল বিষয়বস্তু ব্যাখ্যা করেছেন।[১০]

তার গ্রন্থ Some Aspects of Peasant Behaviour in Bengal : A Neo-classical Analysis ১৯৮২ সালে প্রকাশিত হয়। ১৯৯৬ সালে প্রকাশিত হয় তার Discovery of Bangladesh বইটি। ’’জীবনানন্দ দাশের কবিতা’’ প্রথমা কর্তৃক প্রকাশিত হয় ২০১৪ খ্রিস্টাব্দের বই মেলায়। এর বিষয় বস্তু বনলতা সেন সহ কবি জীবনানন্দ দাশের অনেকগুলো কবিতার আলোচনা। তিনি জনপ্রশাসন বিষয়ের উপর ইংরেজি ভাষায় "গ্রেশাম’স ল সিনড্রোম অ্যান্ড বিয়ন্ড, অ্যান অ্যানালাইসিস অব দ্য বাংলাদেশ ব্যুরোক্রেসি" নামে একটি গ্রন্থ রচনা করেছেন। এটি ২০১৫ সালে ইউনিভার্সিটি প্রেস লি. কর্তৃক প্রকাশিত হয়েছে।[১১]

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. আকবর আলি খান
  2. "Akbar Ali resigns as RRC chief"bdnews24.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৫-২১ 
  3. "বাংলাদেশ সুস্পষ্টভাবে স্থায়ী ও স্থিতিশীল রাষ্ট্র"প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৫-২১ 
  4. "Dr. Akbar Ali Khan | BRAC University" (English ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৪-১৮ 
  5. একুশে টিভি কর্তৃক প্রচারিত
  6. "গণতন্ত্র রক্ষায় নতুন নির্বাচন দরকার"। ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মার্চ ২০১৪ 
  7. "সংবিধান সংশোধন ছাড়া বর্তমান নির্বাচন পদ্ধতিতে জাল-জালিয়াতি হবেই"। ৫ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মার্চ ২০১৪ 
  8. "ক্যাম্পাসনিউজ"। ১৪ অক্টোবর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মার্চ ২০১৪ 
  9. [১][স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  10. "Akbar Ali Khan: Kormopran Mognopran"। Prothom Alo (Bengali ভাষায়)। Mahfuz Anam। 25 August 1956।  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ= (সাহায্য)
  11. দক্ষ জনপ্রশাসন গড়ার জন্য রাজনৈতিক সদিচ্ছা দরকার, প্রথম আলো, ২৭ মে ২০১৫